প্রত্যয় ডেস্ক: নাটোরের সিংড়ায় আত্রাই নদীর পানির প্রবল স্রোতে শোলাকুড়া মহল্লার ১০টি বাড়ি সম্পূর্ণ এবং ৫টি বাড়ি আংশিক প্রবল ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে। নদীর পানি কমলে ও ভাঙনের তীব্রতা বেড়েছে, আতংকে মানুষ মালামাল অন্যত্র সরে নিচ্ছে। সকালে সরেজমিনে গিয়ে নদীর পানি তীব্র বেগে প্রবাহিত হতে দেখা যায়। পানিবন্দি মানুষেরা অবর্ণনীয় দুর্ভোগের মধ্যে রয়েছেন। অনেকেই বাড়িতেই মাচা করে তার ওপরে অবস্থান করছে। যাদের সে অবস্থাও নেই তারা ২৫টি আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন। জেরা প্রশাসন ও পৌরসভার উদ্যোগে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ অব্যাহত রয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, ইতিমধ্য বিধস্ত হয়েছে জহুরুল, জহির, কুদ্দুস, রহিম, সফের, বাবলু, মতলেব, শাজা, শামিমসহ ১৫টি বাড়ি। আতংকে মানুষ মালামাল সরিয়ে নিচ্ছে। মানুষের নাওয়া, খাওয়া ঘুম হারাম হয়ে গেছে।
স্থানীয়রা ও স্বেচ্ছাসেবকরা জানায়, আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ এমপির নির্দেশনায় ভাঙন রোধে সিংড়া পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব জান্নাতুল ফেরদৌস, শেরকোল ইউপি চেয়ারম্যান লুৎফুল হাবিব রুবেল ও পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক হাসান ইমাম ও ভিপি সজিব ইসলাম জুয়েলের নেতৃত্বে স্বচ্ছাসেবকরা কাজ করছেন। তবে জনবল দ্রুত বাড়ানো দরকার। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ দ্রুত না নিলে আরো ক্ষতি হবার আশংকা রয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ঢের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু রায়হান জানান, গতকাল আত্রাই নদীর পানি বিপদ সীমার ১১১ সেন্টিমিটার থেকে ৫১ সেন্টি মিটারে নেমে এসেছে। তবে বন্যার পানি নেমে যেতে আরো কয়েকদিন সময় লাগবে। পানি উন্নয়ন বোর্ড বালির বস্তা ফেলে বিভিন্নস্থানে ভাঙন রোধের চেষ্টা করছে।
অপরদিকে আজ বেলা তিনটায় প্রতিমন্ত্রী সিংড়া পৌর এলাকায় বানভাসী মানুষদের মধ্যে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন। নাটোরের প্রশাসক মো. শাহরিয়াজ বলেছেন বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সব ধরণের সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে।